নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় পেঁয়াজের চোরাচালান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বিছানাকান্দি সীমান্তঘেঁষা এলাকা চোরাকারবারিদের অন্যতম রুটে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের ওপার থেকে বস্তায় ভরা পেঁয়াজ বহন করে আনার জন্য শ্রমিকরা পাচ্ছেন বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা। এরপর মোটরসাইকেলে করে ট্রাক্টর ঘাট পর্যন্ত পৌঁছানোতে আরও ১০০ টাকা দেওয়া হয়। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা বাহকদের পারিশ্রমিক ৫০ টাকা।
ট্রাক্টরে পেঁয়াজ লোড দেওয়ার জন্য বস্তাপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এসব পেঁয়াজ প্রথমে সালুটিকর এলাকার বিভিন্ন গোপন গোদামে মজুত করা হয়। পরে ট্রাকযোগে তা সিলেট শহরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রবেশ করে- কখনো বিমানবন্দর থানা এলাকা হয়ে, আবার কখনো জৈন্তাপুর হয়ে শাহপরান থানা এলাকায় ঢুকে শেষ পর্যন্ত কালিঘাটসহ বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় বাজারে দাম কম হওয়ায় সীমান্তপথে পেঁয়াজ আনা চক্রের লাভ বেড়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে সংশ্লিষ্টদের দৌরাত্ম্য। এতে স্থানীয় বাজারেও প্রভাব পড়ছে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে কয়েকটি চালান আটক হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। অভিযান জোরদার করায় কিছু বহনকারী ধরা পড়লেও মূল চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষ মনে করছেন, নজরদারি আরও বাড়ানো গেলে চোরাচালান কমানো সম্ভব হবে। নইলে স্থানীয় বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভারতীয় পেঁয়াজের দৌরাত্ম্য আরও বাড়তে পারে।
Leave a Reply